নিউজ ডেস্ক: স্ত্রী আফজুন বেগমকে (৩৪) শারীরিক নির্যাতন করে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগে স্বামী মো. মোক্তার হোসেনকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার এক দোকানের পাশ থেকে রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে মোক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, আফজুন ও মোক্তার দুজনেরই বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ফুলকাচিয়া গ্রামে। গতকাল রোববার রাত ১২টার দিকে আফজুনকে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
মেয়েকে হত্যার অভিযোগে আজ সোমবার আফজুনের বাবা মো. ইসমাইল হোসেন ফরাজি বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের মামলায় মোক্তারকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনের কথা উল্লেখ করা হয়।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, প্রায় ১৮ বছর আগে একই গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে মো. মোক্তার হোসেনের সঙ্গে মো. ইসমাইল হোসেন ফরাজির বড় মেয়ে আফজুন বেগমের বিয়ে হয়। মোক্তার পেশায় রিকশাচালক। মো. সুমন (১২) ও সায়ান (৯) নামে তাদের দুটি সন্তান আছে। কয়েক মাস আগে থেকে মোক্তার স্ত্রী আফজুনের ছোট বোনের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাঁকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন মোক্তার। এ নিয়ে প্রায়ই স্ত্রী আফজুনের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ চলে। মোক্তার স্ত্রীকে শারীরিক নিয়মিত নির্যাতন করতে থাকেন।
গত রমজানে মোক্তার ও তাঁর শ্যালিকাকে একসঙ্গে দেখে পরিবারের লোকজন উভয়কে সতর্ক করেন। কিন্তু মোক্তার সতর্ক না হয়ে স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। রোববার দিবাগত রাতে স্ত্রীকে পিটিয়ে জখম করার পরে গলা টিপে হত্যা করেন মোক্তার। বাইরে থেকে স্থানীয়রা আফজুনের চিৎকার শুনে পুলিশকে খবর দেয়।
নিহত আফজুনের ভাই আল-আমিনের ভাষ্য, স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় মোক্তার পালিয়ে যান। মোক্তার ছোট বোনকে বিয়ের জন্য বড় বোনকে হত্যা করেছেন। মোক্তারের শাস্তির দাবি জানান তিনি।
বোরহানউদ্দিন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, লাশের মাথায়, চোখের নিচে, গলায়, ঘাড়ে দাগ আছে। ঘটনাস্থল থেকে আফজুনের লাশ উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। নিহতের বাবার করা মামলার ভিত্তিতে স্বামী মোক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ধর্ম