বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিবেশী প্রেমিকাকে একাধিকবার ধর্ষণের দায়ে বরিশাল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল দাস পাপ্পাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দিয়েছ পুলিশ। সম্প্রতি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই রোজিনা বেগম চার্জশিটটি জমা দেন। এরআগে গত ৭ জুলাই কোতোয়ালি মডেল থানায় ধর্ষণের শিকার অন্তঃসত্ত¡া প্রেমিকা মামলাটি দায়ের করেন। অভিযুক্ত চঞ্চল দাস পাপ্পা নগরীর কালীবাড়ি রোড দক্ষিণের (শ্রীনাথ চ্যাটার্জি লেন) মৃত শিব শংকর দাসের ছেলে। সূত্র জানায়, একই এলাকায় পাশাপাশি বাড়ি হওয়ার সুবাদে বিগত ১৪ বছর ধরে চঞ্চল দাস পাপ্পার সাথে ওই প্রতিবেশী যুবতীর প্রেমের সম্পর্ক চলছে। বিভিন্ন সময় পাপ্পা তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রæতি দিয়ে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর সকালে পাপ্পা তার প্রেমিকাকে বাসায় ডেকে নেন। বাসায় কেউ না থাকায় তিনি প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিছানায় নিয়ে জাপটে ধরে ধর্ষণের প্রস্তুতি নেন। এসময় প্রেমিকা চিৎকার করলে পাপ্পা তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। প্রেমিকা ওই সময় পাপ্পাকে বিশ্বাস করে ধর্ষণের কথা কাউকে না বলায় তিনি বিভিন্ন সময় ওই যুবতীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ ঘটনার দিন গত ১৯ ফেব্রæয়ারি সকাল ১০টায় পাপ্পা তার প্রেমিকাকে জরুরি কথা আছে বলে নিজ বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৯ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত দিনের পর দিন বিভিন্ন সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের কারণে প্রেমিকা অন্তঃসত্ত¡া হয়ে পড়লে তিনি পাপ্পাকে বিয়ে করার জন্য বলেন। পাপ্পা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে প্রেমিকাকে বিয়ে করতে তালবাহানা শুরু করলে গত ৭ জুলাই বিচার পেতে মামলাটি দায়ের করেন। দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রোজিনা বেগম ঘটনাটি প্রকাশ্যে ও গোপনে তদন্ত করে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পান। এছাড়া ৮ জুলাই তিনি ধর্ষিতার মেডিকেল রিপোর্ট পর্যালোচনা করে জানতে পারেন তিনি ২২ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত¡া। গত ১৫ সেপ্টেম্বর সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে মামলার এজাহারনামীয় আসামি চঞ্চল দাস পাপ্পাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন এসআই রোজিনা বেগম।
ধর্ম, বরিশাল