বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম ফারুককে এক ধর্ষণের মামলায় খুঁজছে পুলিশ। উপজেলা আওয়ামী লীগের এই সহ সভাপতির বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর ভাটারা থানায় ধর্ষণের মামলা করেছেন এক তরুণী। পুলিশ বলছে, তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
জানতে চাইলে ভাটারা থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান বলেন, ধর্ষণের শিকার তরুণী গত বৃহস্পতিবার গোলাম ফারুক নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। ভুক্তভোগীর অভিযোগ যাচাই-বাছাই করেই মামলা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেছে। মামলার বাদী ওই তরুণীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গতকাল শুক্রবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। গোলাম ফারুককে আটকের জন্য পুলিশের চেষ্টা চলছে।
মামলাটির তদন্ত করছেন ভাটারা থানার এসআই রিয়াদ আহমেদ। তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অভিযুক্ত গোলাম ফারুকের গ্রামের বাড়ি বরিশালের বানারীপাড়ায়। তিনি ওই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণীর বাসা রাজধানীর পল্লবী এলাকায়। তিনি সেখানে বিউটি পার্লারে কাজ করেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি বরিশালে। মোবাইল ফোনে যোগাযোগের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা হয়। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বারিধারা আবাসিক এলাকার ওই ফ্ল্যাটে নিয়ে তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন গোলাম ফারুক। সম্প্রতি বিয়ের কথা বললে তিনি এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে গোলাম ফারুকের বক্তব্য জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
লিড নিউজ বিশেষ প্রতিবেদন, লিড নিউজ