আজ রোববার উপকূলীয় এলাকা মঠবাড়িয়ায় ২টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মঠবাড়িয়া উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর সোনাখালী গ্রামের আ: হামিদ ফরাজী শিশু সদন-কাম-মাদ্রাসা বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র এবং উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের রাজারহাট গ্রামে শরিফ বাচ্চু মাধ্যমিক বিদ্যালয় বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রসহ সারা দেশে ১শ’ টি আশ্রয় কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন। ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত থাকবেন পিরোজপুর জেলা প্রশাসক আবু আলী মো: সাজ্জাদ হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি.এম সরফরাজ, ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিল ফরাজী প্রমুখ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি.এম সরফরাজ জানান, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের একটি প্রকল্পের আওতায় উপক‚লীয় এলাকায় তিনতলা বিশিষ্ট ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। সারা দেশের ন্যায় মঠবাড়িয়া উপজেলায় ৪ কোটি ৫৭ লাখ ৯৩ হাজার টাকা ব্যয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ.এস.পি পিবিকে জেভি এ দুটি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এই আশ্রয় কেন্দ্রগুলো মানুষের স্বল্প সময় অবস্থানের জন্য তৈরি করা হয়েছে। নারী ও পুরুষের আলাদা থাকার স্থান, শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানোর স্থান, প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে ভবন গুলোতে। এছাড়া সুপেয় পানি ও টয়লেটের ব্যবস্থাও রয়েছে। আশ্রয় নেয়া মানুষ গবাদি পশু এনে যাতে রাখতে পারেন, সেই ব্যবস্থাও রয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রে। তিনি আরও বলেন, অন্য সময়ে এই ভবনগুলোতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সেভাবেই ভবনগুলো তৈরি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, সাতক্ষীরায় ১০, বাগেরহাটে ৩, খুলনায় ৯, বরিশালে ১১, ঝালকাঠিতে ২, পিরোজপুরে ৪, বরগুনায় ৭, পটুয়াখালীতে ১১, ভোলায় ১১, নোয়াখালীতে ৮, চট্টগ্রামে ২, কক্সবাজারে ৫, চাঁদপুরে ১৫ ও কুমিল্লায় ২টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মিত হয়েছে।
টপ-৯ বরিশাল বিভাগ টপ-৬, পিরোজপুর, বরিশাল বিভাগ