অনলাইন ডেস্ক: বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যা মামলার দুই প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ নয়ন (নয়ন বন্ড) ও রিফাত ফরাজীর বিরুদ্ধে এবার ল্যাপটপ ছিনতাইচেষ্টা এবং শারীরিকভাবে জখম ও হুমকি দেওয়ার পৃথক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
সোমবার (১জুলাই) দুপুরে বরগুনার জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. নাহিদ হোসেন এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৫অক্টোবর নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর নেতৃত্বে ৫-৬ জনের একটি সন্ত্রাসী দল বরগুনার চরকলোনি এলাকার আক্তারুজ্জামান নাসিরের ছেলে জিহাদ জামানের কাছ থেকে ল্যাপটপ ছিনতাই এর চেষ্টা করে। এসময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ল্যাপটপটি ভেঙে গেলে সন্ত্রাসীরা ল্যাপটপটি আছাড় মেরে সম্পূর্ণ গুড়িয়ে দেয় এবং জিহাদ জামানকে মারধর করে।
এরপর জিহাদের বাবা আক্তারুজ্জামান নাসির বাদী হয়ে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী ও অজ্ঞাতনামা ৫-৬জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আজ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার বাদী আক্তারুজ্জামান নাসির বলেন, আমার ছেলেকে যেভাবে মারধর করেছিল সেই সময় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি কঠোর ভূমিকা পালন করতো তাহলে আজ এভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষ কুপিয়ে খুন করার সাহস পেত না এরা। আমি এই দুই সন্ত্রাসীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. শাহ আলম গাজী বলেন, ২০১৮ সালের নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীসহ বেশ কয়েকজন বাদী আক্তারুজ্জামান নাসিরের ছেলের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ ছিনতাই করে । এসময় তাকে মেরে আহত করে। এ ঘটনায় জিহাদের বাবা বাদী হয়ে মামলা করলে আদালত আজ জিহাদের বাবা আক্তারুজ্জামান নাসিরের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলায় আগের শুনানিগুলোতে নয়ন বন্ডের পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আনিসুর রহমান মিলন ও রিফাত ফরাজীর পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মোতালেব মিয়া। তবে আজকের শুনানিতে এদের কেউ আসামিদের পক্ষে দাঁড়াননি।
ধর্ম